আইন ও অপরাধ

পদ্মা সেতু : কমিশন গঠনের অগ্রগতি প্রতিবেদন ১১ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি ও দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা। এর আগে গত ৯ নভেম্বর তদন্ত কমিশনের সদস্য হিসেবে একজনের নাম প্রস্তাব করে হাইকোর্টে পাঠায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুজ্জামানের নাম কমিশনের সদস্য হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। গত ২ আগস্ট তদন্ত কমিশন গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেন, সেই ফেব্রুয়ারি মাসে অর্ডার হয়ে গেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত আপনাদের চিঠি চালাচালি শেষ হয় নাই। গত ২০ মার্চ পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি এবং দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিটি বা কমিশন গঠনের অগ্রগতি প্রতিবেদন ৭ মে এর মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি এবং দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে মূল ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং দোষীদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব এবং দুদকের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে `ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের কথা নজরে নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ডিসেম্বর ২০১৭/মেহেদী/ইভা/শাহনেওয়াজ