আইন ও অপরাধ

জুবায়ের হত্যা মামলা: হাইকোর্টে আপিল শুনানি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়েছে। বুধবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল। সঙ্গে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন,‘আজ পেপারবুক থেকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের অংশ পড়া হয়েছে। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য বুধবার ধার্য করেছেন।’ ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল । অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুজনকে খালাস দেওয়া  হয়। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম আশিক, খানমোহাম্মদ রইছ ও জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম।  এদের মধ্যে  রাশেদুল ইসলাম রাজু ছাড়া বাকি চারজন পলাতক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুণ্ডু অভি, দর্শন বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ ও ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ, ইতিহাস বিভাগের মাজহারুল ইসলাম এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের নাজমুস সাকিব তপু। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অরূপ পলাতক ও বাকিরা কারাগারে রয়েছেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগকর্মী জুবায়েরকে কুপিয়ে জখম করে তারই সংগঠনের একটি পক্ষ। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯জানুয়ারি মারা যান জুবায়ের। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/০২ জানুয়ারি ২০১৮/মেহেদী/শাহেদ