আইন ও অপরাধ

এবি ব্যাংকের ৬ পরিচালককে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০ মিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের (এবি) ছয় পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন- শিশির রঞ্জন বোস, মো. মেজবাহুল হক, মো. ফাহিমুল হক, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, মোছা. রুনা জাকিয়া, মো. আনোয়ার জামিল সিদ্দিকি। এছাড়া আজ সাইফুল হক নামের এক ব্যবসায়ীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক। গত ১ জানুয়ারি এক নোটিশে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলা হয়েছিল। একই ঘটনায় গত ২৮ ও ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও প্রাক্তন দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এবং সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করেন। এদিকে এ ঘটনায় ব্যাংকটি ১৬ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সংযুক্ত আরব আমরাত ২০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের সঙ্গে ওই সকল কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে দুদক ওই চিঠি দিয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, পিজিএফ নামের দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে ২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ হিসেবে দেওয়ার কথা বললেও ওই কোম্পানির কোনো কর্মকর্তাদের নাম বা পরিচয় কাগজপত্রে দেখাতে পারেনি এবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বরং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই টাকা ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেছে। তিন কিস্তিতে ওই টাকা দুবাই যাওয়ার পর ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে দেয় প্রতারক চক্র। পরবর্তীকালে যার কোনো তথ্য এবি ব্যাংকের কাছে নেই। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে খুররাম ও আবদুস সামাদ নামের দুই ব্যাক্তি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এছাড়া দুদক ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার একাধিকবার দুবাই যাতায়াতের প্রমাণ পেয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর এবি ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ ও পরিচালক ব্যারিস্টার ফাহিমুল হক পদত্যাগ করেন। রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তারা পদত্যাগ করেন। রাজিংবিডি/ঢাকা/৭ জানুয়ারি ২০১৮/এম এ রহমান/ইভা