আইন ও অপরাধ

ছাত্রীকে এসিড নিক্ষেপের মামলায় মনিরের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইডেন কলেজের ছাত্রী শারমিন আক্তার আখিকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মনির উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মনিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই জরিমানার টাকা ভিকটিমকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। জরিমানার অনাদায়ে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিলাম করে ট্রাইব্যুনালে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আখিকে ছুরিকাঘাত করার অপরাধে মনিরকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায় তাকে আরো তিন মাস কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া রায়ে মনিরের বন্ধু মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ইডেন কলেজের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী শারমিন আক্তার আখি রমনার পূবালী সরকারি অফিসার্স কোয়ার্টার সার্কিট হাউজ রোডে বড় ভাই ফখরুদ্দিন আহমেদের বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো। কলেজে যাওয়া-আসার পথে মনির উদ্দিন প্রায় আখিকে উত্যক্ত করতো। এ বিষয়ে মনিরের মা আলফাজ খানম, বোন কানিজ, শিউলী, রুপা, ভাই নিজাম ও তার ভগ্নিপতিকে অবগত করা হয়। কিন্তু তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি আখি কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলে চানখারপুল মোড়ে পৌঁছালে মনিরের বন্ধু মাসুম আখিকে জোর করে নাজিমুদ্দিন রোডে কাজী অফিসে নিয়ে যায়। মনির আখিকে বিয়ে করতে চায়। আখি রাজি না হওয়ায় মনির তাকে এসিড মাথায় ঢেলে দেয়। এসিডদগ্ধ যন্ত্রণাকাতর অবস্থায় আখি এসিডের বোতল সরানোর চেষ্টা করলে মনির আখিকে ডান হাতে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে।  ওই ঘটনায় ওইদিনই আখির ছোট ভাই মহিউদ্দিন আহমেদ বংশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ এসিড অপরাধ দমন আইন ও দণ্ডবিধি আইনে মনির ও মাসুমের নামে পৃথক দুইটি চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচারকাজ চলাকালে আদালত বিভিন্ন সময় ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ এপ্রিল ২০১৮/মামুন খান/সাইফ