আইন ও অপরাধ

বৈধ ডিলারশিপে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোহাম্মদ আলী বাবুল। বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ডিলারশিপ আছে তার। কিন্তু বৈধ ডিলারশিপের আড়ালে তিনি অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) গণমাধ্যম শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাবুল মিয়াকে গত ১১ জুন মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে পিস্তল, রিভলবার এবং ১২৫ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। আগে থেকেই অভিযোগ ছিল- বাবুল অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করছে। তারই অংশ হিসেবে তদন্ত শুরু হয়।’ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাবুলের আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধ ডিলারশিপ ছিল। তবে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র ও গুলির বৈধ কাগজপত্র নেই। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- পয়েন্ট ২২ বোরের একটি রাইফেল, একনলা বন্দুক চারটি, পয়েন্ট ২২ বোরের পিস্তল দুটি, ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের পিস্তল একটি, পয়েন্ট ৩২ বোরের রিভলবার দুটি এবং ১ হাজার ১৮৫ রাউন্ড গুলি। বৃহস্পতিবার তাকে সঙ্গে নিয়ে ময়মনসিংহের চরখাই এলাকায় তার বাড়ি থেকে বৈধ কাগজপত্রবিহীন বাকি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। মোট ১০টি অস্ত্র ও ১ হাজার ১৮৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে তার কাছ থেকে। তিনি জানান, এর আগে ১৫ মে মো. জাহিদুল আলম কাদির নামের এক ব্যক্তিকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে এবং তার স্ত্রী মাসুমা আক্তারকে ৩ জুন গাবতলী এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ময়মনসিংহে জাহিদুল আলমের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ গুলি ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। জাহিদুল আলম কাদির চিকিৎসক। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপ্লোমাও আছে। কিন্তু তিনি নিজের পেশায় না থেকে চুক্তিতে খুন-খারাবি করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, মেসার্স নেত্রকোনা আর্মস কোং এর স্বত্বাধিকারী বাবুল মিয়ার কাছ থেকেই অস্ত্র নিতেন জাহিদুল আলম কাদির ও তার স্ত্রী। ময়মনসিংহ ছাড়াও রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনার কয়েকজন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ডিলারের সঙ্গে তার অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচার তথ্য পাওয়া গেছে। সুন্দরবনের জলদস্যুরা মূলত তার কাছ থেকে অস্ত্র নিত। এই উদ্ধারকৃত অস্ত্র জলদস্যুদের হাতে পৌঁছানোর কথা ছিল।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জুন ২০১৮/মাকসুদ/রফিক