নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থ আত্মসাতের মামলায় জামিনপ্রাপ্ত ভাসাভি ফ্যাশন লিমিটেড ও তাহমিনা ডেনিম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াসির আহমেদ খান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামাল জামান মোল্লা আত্মসাতকৃত টাকার কিস্তি শর্ত অনুযায়ী পরিশোধ করছেন কিনা তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার এক আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যাংক স্টেটম্যান্টসহ হলফনামা আকারে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের তা জানাতে বলা হয়েছে। আদালতে এ দুজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. হেলাল উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এ মামলায় দুদকের আইনজীবী হলেন সৈয়দ মামুন মাহবুব। মামলার বিবরণে জানা যায়, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন। ভাসাভি ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াসির আহমেদ খান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামাল জামান মোল্লা, বেসিক ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক শিফার আহমেদ, উপব্যবস্থাপক এস এম জাহিদ হাসান (চাকরিচ্যুত) ও সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মঞ্জুর মোরশেদসহ ছয় জনকে আসামি করা হয় এ মামলায়। ঋণ নিয়ে টাকা আত্মসাতের এসব মামলায় ২০১৬ সলের ৮ ডিসেম্বর শিক্ষা ভবনের সামনে থেকে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর আত্মসাতকৃত টাকা কিস্তিতে পরিশোধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ইয়াসির ও কামাল।’ রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে ২ বছরের মধ্যে সমান হারে ৪০টি কিস্তিতে টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন আদালত।’ সে হিসেবে প্রথম কিস্তিতে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৪ টাকা পরিশোধ ও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে তারা জামিন চাইলে গত বছরের ১১ জানুয়ারি মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।’ মানিক বলেন, ‘গ্রেপ্তারের এক মাসের মধ্যে জামিন হওয়ায় দুদক জামিনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারী রিভিশন আবেদন করে। সে আবেদনের শুনানিতেই বুধবার হাইকোর্ট জানতে চান জামিনপ্রাপ্ত ভাসাবি ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডি কিস্তি পরিশোধ করছেন কিনা।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুলাই ২০১৮/মেহেদী/শাহনেওয়াজ