আইন ও অপরাধ

নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি : ৬ জনের রিমান্ড, দুই জনের জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিসিএস পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, ব্যাংক ও সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ জনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আর রাজধানীর অগ্রণী স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক গোলাম মোহাম্মদ বাবুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস ৯ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তিনি এদের মধ্যে ৬ আসামির ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন এবং একজনকে কারাগারে আটক রাখা ও দুই জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহ্দ বিন আমিন চৌধুরী ৬ আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে এবং একজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। যাদেরকে রিমান্ড নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন বিএডিসির সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, ৩৬তম বিসিএসে নন ক্যাডার পদে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত ইব্রাহিম, ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আইয়ূব আলী বাঁধন, পিওন আনোয়ার হোসেন মজুমদার, নুরুল ইসলাম ও পিওন হাসমত আলী শিকদার। আসামিদের মধ্যে হাসমত আলী সিকদারের পক্ষে তার আইনজীবী মিজানুর রহমান জামিনের আবেদন করেন। অপর আসামিদের পক্ষে কোন আইনজীবী ছিল না। ডিজিটাল প্রশ্নফাঁস চক্রের মূল হোতা বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাস ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অন্যদিকে ধানমন্ডি গভ. বয়েজ স্কুলের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক হোসনে আরা বেগম ঢাকা মহানগর হাকিম দেলওয়ার হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীতে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ আগস্ট ২০১৭/মামুন খান/শাহনেওয়াজ