আইন ও অপরাধ

চার্জশিট গ্রহণ, দুইজনকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় মামলায় জাবালে নূর বাসের মালিক ও চালকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম চার্জশিট গ্রহণ করেন। দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া তাদের অব্যাহতি দেন আদালত। দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। চার্জশিট গ্রহণ করা আসামিরা হলেন-জাবালে নূরের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ (৬০), চালক মাসুম বিল্লাহ (৩০), হেল্পার মো. এনায়েত হোসেন (৩৮), চালক মো. জোবায়ের সুমন (৩৬), বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও হেল্পার মো. আসাদ কাজী (৪৫)। জাহাঙ্গীর আলম ও আসাদ কাজী পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে শাহদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মো. সোহাগ আলী ও মো. রিপন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটটি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় দাখিল করা হয়েছে। দাখিলকৃত চার্জশিটে মোট ৪১ জনকে সাক্ষী এবং ছয় রকম আলামত জব্দ দেখানো হয়। যার মধ্যে ৩টি বাস এবং ৩টি ড্রাইভিং লাইসেন্স। প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুত গতিসম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। আহত হন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী। ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম মামলা দায়ের করেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮/মামুন খান/সাইফ