আইন ও অপরাধ

স্ত্রীসহ কারাগারে মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীতে গৃহপরিচারিকা হাওয়া বেগমকে (১৪) নির্যাতনের মামলায় মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন-মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা মোস্তাকিম শরীফ ও তার স্ত্রী জান্নাতুল নাইমা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই নাসির উদ্দিন তুহিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। একই সঙ্গে তিনি জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। প্রসঙ্গত, রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর একটি বাসা থেকে নির্যাতনের শিকার হাওয়া বেগম নামে এক গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ। গতকাল দুপুরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধারের পর ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেছে। ওই ঘটনায় গৃহকর্তা শরীফ চৌধুরীকে আটক করা হয়, যিনি একটি মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা। খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত জানান, হাওয়া বেগম গত চার মাস আগে তার মামাতো বোনের মাধ্যমে দক্ষিণ বনশ্রীর ১১ নম্বর সড়কের ৪৩ নম্বর বাড়ির ষষ্ঠতলায় শরীফ চৌধুরীর বাসায় কাজে আসে। কিন্তু কাজে সামান্য এদিক-সেদিক হলেই মেয়েটিকে মারধর করা হতো। শুধু তাই নয়, লোহার খুনতি পুড়িয়ে ছ্যাঁকাও দিতেন গৃহকর্তা শরীফ চৌধুরী ও তার স্ত্রী। ধারাবাহিক নির্যাতনে তার চেহারাই বিকৃত হয়ে যায়। আর এটা গোপন রাখতে হাওয়া বেগমের সঙ্গে তার স্বজনদেরও দেখা-সাক্ষাৎ বা ফোনালাপ করতে দেওয়া হতো না। গৃহকর্তা শরীফ চৌধুরী একটি মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী পরিচয় দেন বলে জানায় পুলিশ। গৃহপরিচারিকা হাওয়া বেগমের বাবার নাম শনু মিয়া। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার নগরচড়ায়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ নভেম্বর ২০১৮/মামুন খান/সাইফ