আইন ও অপরাধ

ফল বিক্রেতা থেকে অপরাধীচক্রের প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক : মো. কাসেম ওরফে জীবন। ১৯৮৮ সালে ঢাকায় এসে শুরু করেন ফলের ব্যবসা। পরে ব্যবসা ছেড়ে গড়ে তোলেন অপরাধীচক্র। সোমবার সেই জীবনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব জানতে পেরেছে, জীবন ১৯৮৮ সালে প্রথমে ঢাকায় এসে মুগদাপাড়ায় ফলের ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে সিঙ্গাপুর চলে যান। সেখানে ১০ বছর অবস্থান শেষে ২০০৮ সালে দেশে ফিরে আসেন। পুনরায় মুগদাপাড়ায় ফলের ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৫ সালে জনৈক ইমরানের প্ররোচনায় তিনি ছিনতাই এবং ডাকাতিতে সম্পৃক্ত হন। কিছুদিন পর গ্রেপ্তার হয়ে সাত মাস কারাগারে ছিলেন। কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে একই ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ২০১৭ সালে আবারও গ্রেপ্তার হন এবং দুই মাস কারাভোগ করেন। ২০১৮ সালেও তিন মাস কারাভোগ করেন। কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে গড়ে তোলেন সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্র। ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাইয়ের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন।    র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, এই চক্রের মূল হোতা মো. কাশেম ওরফে জীবন। চক্রটি র‌্যাব পরিচয়েই বেশি অপরাধ করত বলে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান। সোমবার দুপুরে কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘চক্রটি নিজেদের র‌্যাব হিসেবে জাহির করতে র‌্যাবের জ্যাকেট, হ্যান্ডকাফ, ওয়াকিটকি ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে। নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য করতে র‌্যাবের মতো স্টিকার তৈরি করে ভাড়া করা মাইক্রোবাস ব্যবহার করে থাকেন। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’ রোববার রাতে রাজধানীর কাউলা থেকে জীবনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরা হলেন- মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. জাকির হোসেন সুমন, মো. বিল্লাল হোসেন, আব্দুল মন্নান, মো. সোহাগ ও মো. আরিফ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, র‌্যাবের জ্যাকেট, হ্যান্ডকাফ, ওয়াকিটকিসহ র‌্যাবের স্টিকারযুক্ত মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ নভেম্বর ২০১৮/মাকসুদ/রফিক