নিজস্ব প্রতিবেদক : বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর প্রাণহানির মামলায় তাদের ৩ সহপাঠী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন। সাক্ষীরা হলেন সোহেল রানা, মেহেদী হাসান সাগর ও মেহেদী হাসান জীবন। এই তিন শিক্ষার্থী ঘটনার দিন আহত হন। তারা ওই সম্পর্কেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল এসব তথ্য জানিয়েছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এর আগে মামলাটিতে সাতজন সাক্ষ্য দেন। মামলার আসামিরা হলেন জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের মালিক শাহাদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং দুই চালকের দুই সহকারী এনায়েত হোসেন ও কাজী আসাদ। এদের মধ্যে শাহাদাত হোসেনের মালিকানাধীন বাসটির চাপায় দুই শিক্ষার্থী মারা যান। আসামিদের মধ্যে কাজী আসাদ ও জাহাঙ্গীর আলম পলাতক। বাকি চারজন কারাগারে। প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত গতির একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। আহত হন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী। নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ নভেম্বর ২০১৮/মামুন খান/শাহনেওয়াজ