আইন ও অপরাধ

অভিনেত্রী নওশাবার মামলার প্রতিবেদন ১৫ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ১৫ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম জসীম উদ্দিন প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ফেসবুক লাইভে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে কাজী নওশাবাকে আটক করে র‌্যাব। এরপর র‌্যাব-১ বাদী হয়ে মামলা করে। গত ৫ আগস্ট এ আসামির চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২১ আগস্ট জামিন পান কাজী নওশাবা। মামলায় বলা হয়, কাজী নওশাবা নিজের মোবাইল থেকে নিজ নামীয় ফেসবুক আইডিতে গত ৪ আগস্ট বেলা ৪টার দিকে উত্তরার ১৩ নং সেক্টরের ৪ নং রোডের ২ নং বাড়ি হতে অত্যন্ত আবেদনময়ী কণ্ঠে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে বলেন, ‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুই জনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসাথে হোন। প্লিজ, ওদেরকে প্রটেকশন দেন। বাচ্চাগুলো আনসেভ অবস্থায় আছে। প্লিজ, আপনারা রাস্তায় নামেন। প্লিজ, আপনারা রাস্তায় নামেন এবং ওদের প্রটেকশন দেন। এটা আমার রিকোয়েস্ট। আমি এ দেশের একজন মানুষ, নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি যে, জিগাতলায় একটু আগে একটি স্কুলে একটি ছেলের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। একটু আগে ওদেরকে অ্যাটাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। প্লিজ, প্লিজ, ওদেরকে বাঁচান। তারা জিগাতলায় আছে। আপনারা এখই নামবেন। আপনাদের বাচ্চাদেরকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। এটা আমার রিকোয়েস্ট। যে পুলিশরা আছে, তারা অবশ্যই বাচ্চাদের প্রটেকশন দেন। আপনারা প্লিজ কিছু একটা করেন। সরকার যদি দায়িত্ব নিতে না পারে, তাহলে জনগণ কীসের জন্য আছেন আপনারা? আমরা ৭১ এ পেরেছি, ৫২ তে পেরেছি এবারও পারব। আমাদের দরকার নাই কাউকে।’ তার এই আহ্বান মুহূর্তের মধ্যে দেশী-বিদেশী সামাজিক ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফলে জনমনে আতঙ্ক ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী তার এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডার উৎস জানার জন্য ফোন করলে তিনি তার স্বপক্ষে সঠিক কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে ওই সময় জিগাতলায় ওই ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য এরূপ মিথ্য ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ নভেম্বর ২০১৮/মামুন খান/রফিক