আইন ও অপরাধ

স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্যতালিকার অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : আদালতের নির্দেশনা অনুসারে দেশের সব  বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবেরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্যতালিকা নির্ধারণ ও আইন অনুসারে সে তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারীর আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। পরে তিনি বলেন, এর আগে হাইকোর্ট তার আদেশে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্যতালিকার বিষয় প্রতিবেদন চেয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় অনুসারে গত ৯ জানুয়ারির মধ্যে কোনো প্রতিবেদন আদালতে দাখিল হয়নি। তাই বিষয়টি আদালতকে অবহিত করলে আদালত পুনরায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবেরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরিক্ষার মূল্যতালিকা আইন অনুসারে প্রদর্শনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে ওই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পাশাপাশি দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন আদালত। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। উক্ত আদেশ ছাড়াও দেশের সব জেলা সদরের হাসপাতালে ৩০টি আইসিইউ বা সিসিইউ বেড স্থাপন করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এছাড়া অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা ও ফিসের মূল্য তালিকা কেন প্রদর্শন করা হবে না এবং বেসরকারি ক্লিনিকগুলো যাচাই-বাছাই করে কেন লাইসেন্স দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চান আদালত। প্রসঙ্গত, এর আগে হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং অ্যানভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম রিটটি দায়ের করেন। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জানুয়ারি ২০১৯/মেহেদী/সাইফ