আইন ও অপরাধ

আবু সাঈদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নামের আগে অধ্যাপক ব্যবহার করার অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাঈদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়া প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন। গত ১০ ডিসেম্বর প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. এসএম নাসিফ শামস্ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, অধ্যাপক আবু সাঈদ কোনো কলেজে কখনো অধ্যাপনা করেছেন বলে সমাজের মানুষ বা তার জানান নেই। তবে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে আসামি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প সময়ের জন্য কর্মরত ছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। আসামি অধ্যাপক না হয়েও বিভিন্ন জায়গায়, বই পুস্তকে এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের হলফ নামায় অধ্যাপক পদবি ব্যবহার করেন। যার দ্বারা সমাজের মানুষের নিকট প্রচার করে ভোট পাওয়ার পাঁয়তারাসহ সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। নিয়মিতভাবে ১৫ বছর কোনো কলেজে অধ্যাপনা না করলে অধ্যাপক হওয়া যায় না বলে বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে আসামি গণফোরামের নেতা ঐক্যফ্রন্ট হতে ধানের শীষে এমপি পদপ্রার্থী হয়েছেন। এমপি পদে নির্বাচন করতে হলে তিন বছর পূর্বে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়, তাহলে প্রার্থী হওয়া যায়। আসামি বিভিন্ন বই লিখেছেন কোনো বইয়ের শিরোনামে কোনো কলেজে অধ্যাপনা করেছেন এমন কোনো টাইটেল লেখকের পরিচয় হিসেবে বইয়ে লিখেন না। আসামি অধ্যাপক না হয়ে অধ্যাপকের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসতেছেন এবং জনগণের কাছে ভুল তথ্য প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। যা দ্বারা আসামি দণ্ডবিধি ৪১৯/৪২০ ধারায় অপরাধ করেছেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জানুয়ারি ২০১৯/মামুন খান/সাইফ