আইন ও অপরাধ

১৪ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানহানির অভিযোগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর নো অর্ডার (কোনো আদেশ নয়) দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। এর ফলে মানহানির অভিযোগে শেরপুর, কুড়িগ্রাম, ভোলা, ঝিনাইদাহ, রাজবাড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, মাগুরা, নড়াইল, চট্টগ্রাম, যশোর ও নেত্রকোনায় দায়ের হওয়া মোট ১৪ মামলায় মইনুল হোসেনের মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির। অন্যদিকে, মইনুল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাসুদ রানা। এর আগে মানহানির অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় দায়ের হওয়া মামলার মধ্যে ১৫টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে মইনুল হোসেনকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। মইনুল হোসেনের পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, মানহানির অভিযোগে বিভিন্ন আদালতে দায়ের করা ১৫ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এখনো একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরো তিনটি মামলা বিচারের প্রক্রিয়ায় না থাকায় এসব মামলায় তার জামিনের প্রয়োজন নেই। এর ফলে তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকছে না। পরে হাইকোর্টে জামিন পাওয়া ১৫ মামলার মধ্যে ১৪টি মামলার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন জানায়। কিন্তু চেম্বার আদালত নো অর্ডার আদেশ দেওয়ায় মইনুল হোসেনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকল। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনে টকশোতে মাসুদা ভাট্টি লাইভে যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে- আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?’ মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টি ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। তার এ মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। এরপর রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়। রংপুরে করা মানহানির মামলায় ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জানুয়ারি ২০১৯/মেহেদী/রফিক