আইন ও অপরাধ

১০০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি বেহাত, দুদকের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেহাত হয়ে যাওয়া ১০০ কোটি টাকার অধিক মূল্যের ৫ দশমিক ১৩ একর সরকারি সম্পত্তি ঊদ্ধারে ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন নির্বাহী প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দীসহ বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। চট্টগ্রামে ফিরোজ শাহ এস্টেটের অধিগহণকৃত ৫ দশমিক ১৩ একর জমি বেআইনিভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে পাওয়া এমন এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। অভিযানকালে দুদক টিম দেখে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রামে ফিরোজ শাহ হাউজিং এস্টেটের জমি হতে ৫ দশমিক ১৩ একর জমি গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নয় মর্মে প্রাক্তন নির্বাহী প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী কর্তৃক এনওসি প্রদানের মাধ্যমে বেহাত করা হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী কর্তৃক এই অনাপত্তিপত্র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বরাবর প্রেরণ করা হয়। অনাপত্তিপত্র পাওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন উক্ত জমির নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করে ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। নির্দেশনা পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার উক্ত জমি ২৮ জন বরাদ্দ গ্রহীতার নামে নামজারি করেন। এর ফলশ্রুতিতে ১০০ কোটি টাকার অধিক মূল্যবান এ সরকারি সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায়। দুদক টিম জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রেকর্ডপত্র পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে এসব তথ্য সম্পর্কে অবহিত হয়। সরকারি জমি বেহাত হওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুব শিগগিরই জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ থেকে দুদকে নথিপত্র প্রেরন করা হবে মর্মে দুদক টিমকে জানানো হয়। এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি নিয়ে দুর্নীতির ঘটনা রোধে দুর্নীতি দমন কমিশন কঠোরভাবে তৎপর রয়েছে। এক্ষেত্রে এ ঘটনার উপর দুদক শিগগিরেই অনুসন্ধান শুরু করবে এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ