আইন ও অপরাধ

বৈধ পথে এত সম্পদ!

নিজস্ব প্রতিবেদক : সব সম্পদ বৈধ পথেই অর্জন করেছেন বলে দাবি করেছেন অঢেল সম্পদের মালিক ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রমিজ উদ্দিন সরকার। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞসাবাদ শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন। অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মাদ জয়নুল আবেদিন এবং উপ-সহকারী পরিচালক শহিদুল হক রমিজ উদ্দিনত ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। রমিজ উদ্দিন সাংবদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুদক আমাকে তলব করেছে। দুদকের নোটিশ পেয়ে হাজির হয়ে কমিশনে আসা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তারা সম্পদের আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমি আমার আয়কর নথিতে সব কিছু প্রদর্শন করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে কর্মকর্তারাও সন্তুষ্ট হয়েছেন। গত ৪ মার্চ ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলীকে রমিজকে তলব করে চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে রমিজ উদ্দিন সরকারের নামে রাজধানীতেই পাঁচটি বাড়ি, গাজীপুরে ৩০ একর জমি, এবং তার জন্মভূমি কুমিল্লাতে একরের পর একর জমির তথ্য মিলে। অন্যদিকে রমিজ উদ্দিনের স্ত্রী সালাম পারভীনের নামেও কুমিল্লাতে জমিজমা ছাড়াও পুঁজিবাজারে বড় অংকের অর্থের বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক। আর এজন্য তাদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ পাঠায় সংস্থাটি। বর্তমানে তাদের সম্পদ যাচাই-বাছাই চলছে। অনুসন্ধানের দায়িত্বে থাকা দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, রমিজ উদ্দিনের নামে রাজধানীর উত্তরার ৫নং সেক্টরের ২নং রোডে সাত তলা একটি বাড়ি আছে। আর মিরপুরের পূর্ব মনিপুর ১৩০৭/ডি ছয়তলা, মিরপুরের ২৮ মল্লিকা মিল্কভিটা রোডে চারতলা ফ্ল্যাট বাড়ি, রামপুরা মহানগর হাউজিংয়ে ৮নং রোডের ডি ব্লকে ২০২ নং ৪ দশমিক ৫ কাঠা জমির ওপর পাঁচটি দোকান ও টিনসেড বাড়ি এবং পূর্ব রামপুরা ১৭৭/৫/১ এলাকায় ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ জমি ওপর বাড়ি করেছেন রমিজ উদ্দিন। এ ছাড়া ঢাকার সঙ্গে টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে-বেনামে রমিজ উদ্দিনের ৩০ একর জমি রয়েছে। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে একরে একরে জমি। জেলার মুরাদনগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে রয়েছে ৫০ বিঘা জমি। পুঁজিবাজারে এই দম্পতির নামে বিশাল অংকের বিনিয়োগ ছাড়াও নামে-বেনামে বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগ করা আছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। এছাড়া রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার এবং পরে বাংলাদেশে ফেরত আনার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক। ২০১৮ সালের শেষদিকে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসে। এরপর অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ মার্চ ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ