আইন ও অপরাধ

ভ্যাট ফাঁকির ১.২২ কোটি টাকা জমা দিল আশা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : এনজিও আশা কর্তৃক ফাঁকিকৃত ১ কোটি ২২ লাখ টাকার মূসক বা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। সোমবার এক পত্রের মাধ্যমে আশা কর্তৃপক্ষ ঢাকা পশ্চিম কমিশনারকে এই তথ্য জানিয়েছেন। ঢাকা পশ্চিমাঞ্চলের কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনার ড. মইনুল খান রাইজিংবিডি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এনজিওটি আজ সোনালী ব্যাংকের কলেজ গেট শাখায় তিনটি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে এই টাকা পরিশোধ করে। ঢাকা পশ্চিমের একটি দল ২০১৫ থেকে ২০১৭-২০১৮ পর্যন্ত বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের তথ্য নিরীক্ষা করে দেখতে পায় যে, ঐ সময়ে আদায়যোগ্য ভ্যাট আশা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করেননি। গত ১১ মার্চ প্রতিষ্ঠানের বরাবর ফাকিকৃত ভ্যাট ১.২২ কোটি টাকার দাবিনামা জারি করে ৭ দিনের মধ্যে তা জমা দেওয়ার নোটিশ ইস্যু করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আজ প্রতিষ্ঠানটি দাবিকৃত ভ্যাটের টাকা জমা দিয়েছে। এই টাকা সময়মতো পরিশোধ না করায় এখন এনজিওটিকে ভ্যাট আইন অনুযায়ী অতিরিক্ত হিসেবে উক্ত টাকার ওপর মাসিক ২% হারে সুদ জমা দিতে হবে। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট দাবিকৃত ভ্যাট সময়মতো পরিশোধ করায় আশা কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছে বলে চিঠিতে লেখা হয়। ১১ মার্চ এনজিও আশার পাশাপাশি ম্যাপ পেপার বোর্ড মিলস লিমিটেডের বিরুদ্ধে দাবিনামা জারি করেছিল ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনার। ম্যাপ পেপার মিলসের বিরুদ্ধেও ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ ওঠায় ভ্যাট আইনের ধারা ২৬ প্রয়োগ করে ভ্যাটের দল প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ থেকে বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করে। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সহকারী কমিশনার ফেরদৌসী মাহবুব। এসব জব্দকৃত দলিলাদি যাচাই করে দেখা যায় যে প্রতিষ্ঠানটি কার্টন তৈরির মিডিয়াম পেপার বোর্ড উৎপাদন করে। অনুসন্ধান অনুসারে প্রতিষ্ঠানে জুলাই ২০১৭ থেকে নভেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত মূসক রেজিস্টারে প্রকৃত হিসাব লিপিবদ্ধ করা হয়নি। তার বাণিজ্যিক রেজিস্টারের সাথে মূসক রেজিস্টারে গরমিল পাওয়া গেছে প্রায় ৬০ লাখ ২৩ হাজার ৬২০ কেজি পণ্য। যার মূল্য প্রায় ১২.০৪ কোটি টাকা। অপ্রদর্শিত এই মিডিয়াম পেপারের ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে ১.৮০ কোটি টাকা। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ মার্চ ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ