আইন ও অপরাধ

তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় সাক্ষ্য হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক : তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ১১১ শ্রমিক নিহতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। রোববার মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোন সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এজন্য  ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় আগামী ৮ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত  ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলাটিতে ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলার অপর আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, লোডার শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপার ভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পুলিশের ইন্সপেক্টর এ কে এম মহসীনুজ্জামান। ভবনটির নকশায় ত্রুটিট ও জরুরি নির্গমনের পথ না থাকায় এবং আগুন লাগার পর শ্রমিকরা বাইরে বের হতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা আগ্নিকাণ্ডকে অগ্নিনির্বাপন মহড়া বলে শ্রমিকদের কাজে ফেরত পাঠিয়ে কেলাপসিবল গেট লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ১১১ জন পোশাক শ্রমিক মারা যায়। আহত হয় ১০৪ জন শ্রমিক। গার্মেন্টসটিতে ১ হাজার ১৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন শ্রমিক সেখানে কর্মরত ছিলেন। নিহত ১১১ জনের মধ্যে তৃতীয় তলায় ৬৯ জন, চতুর্থ তলায় ২১ জন, পঞ্চম তলায় ১০ জন, পরবর্তীকালে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান ১১ জন। লাশ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৫৩ জনের লাশ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের অশনাক্ত অবস্থায় জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। রইজিংবিডি/ঢাকা/৭ এপ্রিল ২০১৯/মামুন খান/শাহনেওয়াজ