আইন ও অপরাধ

লাশ পুড়িয়ে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিল স্বামী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: স্ত্রী হাসি আক্তারকে (২৩) শ্বাসরোধে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে তার স্বামী কোমল হোসেন প্রচার করতে চেয়েছিল যে, হাসি আত্মহত্যা করেছে। তবে আশপাশের লোকজন দেখে ফেলায় শেষ পর্যন্ত কোমল তা করতে পারেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে। বুধবার সকালে দক্ষিণ মুগদাপাড়া ব্যাংক কলোনি থেকে হাসির পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘হাসি আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কোমল। প্রথমে গলা টিপে হাসিকে হত্যা করে কোমল। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকে আনা কেরোসিন তার গায়ে ঢেলে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে হাসির দুই পাসহ শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে। কোমলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ মুগদার ব্যাংক কলোনি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এ দম্পতি। গত ২ মাস হলো এই বাসায় এসছেন তারা। ৮ মাস আগে হাসি ও কোমল উভয়কে ভালবেসে বিয়ে করেন। উভয়েরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। হাসির আগের ঘরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে হাসি-কোমল দম্পতির মধ্যে প্রায় সময়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। ঘটনার আগের রাতেও তারা ঝগড়া করে। থানায় আনার আগে কথা হয় কোমলের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন,  ‘সব কিছু মেনে বিয়ে করলেও হাসি উচ্ছৃঙ্খল ছিল। সে বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে বাইরে থাকতো, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিতো। সম্প্রতি বন্ধুদের নিয়ে কক্সবাজার থেকেও ঘুরে আসে। যা সহ্য করতে পারছিলাম না।’ তবে কোমলের এ বক্তব্য মানতে নারাজ হাসির মা লাকি আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে কখনই স্বামীর অবাধ্য ছিল না। কোমল এখন নিজেকে বাঁচাতে এ ধরনের কথা বলছে। আমরা মেয়ে হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই।’ হাসির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ এপ্রিল ২০১৯/মাকসুদ/শাহনেওয়াজ