আইন ও অপরাধ

খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় চার্জ শুনানি ৬ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাইকো দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে চার্জ শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ মে ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন, ‘খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে চার্জ শুনানি করা আইন সম্মত হবে না।’ শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৬ মে পরবর্তী চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও প্রাক্তন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম,  নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ এপ্রিল ২০১৯/মামুন খান/ইভা