আইন ও অপরাধ

নারীসহ চাঁদাবাজ চক্রের আটক ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তরায় সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এক দম্পতিসহ চাঁদাবাজ চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১ (র‌্যাব)। বুধবার দুপুরে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- মো. রাসেল হাওলাদার ওরফে রাসেল হাসান ওরফে হাসান (২৯), মো. মানিক হোসেন (২২),  মো. মোখলেছার রহমান ওরফে জনি (২৫),  মোছা. সালমা আক্তার (২১), মোছা. আছমা আক্তার (২১)। আটককালে তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইলফোন, নগদ ৬ হাজার ১৫০ টাকা, দুটি হাতঘড়ি, একটি মোটরসাইকেল, দুটি দাওয়াত কার্ড এবং বিভিন্ন পত্রিকার অসংখ্য পেপার ক্লিপিং উদ্ধার করা হয়।  এদের মধ্যে রাসেল হাওলাদার ও আছমা আক্তার সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। র‌্যাব জানায়, আটককৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র।  তারা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে স্বনামধন্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদাবাজি করে। এই চক্রে কয়েকজন নারী সদস্যও রয়েছেন।  চক্রের প্রধান টার্গেট থাকে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, স্কুল অথবা কলেজের অধ্যক্ষ ও বিভিন্ন কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। র‌্যাব আরো জানায়, এই চক্রের নারী সদস্যরা সমাজের টার্গেট ব্যক্তিদের কাছে যায় ও তাদের সঙ্গে কৌশলে ছবি তুলে।  টার্গেট ব্যক্তিদের কাছে যাওয়ার জন্য ভুয়া দাওয়াত কার্ড তৈরি করে।  তাদের কাছে গিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে।  টাকা না দিলে তারা ইভটিজিং অথবা নারী নির্যাতনের মামলা দেওয়ার ভয় দেখায়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘এই চক্রের মূল হোতা রাসেল হাওলাদার।  তার চক্রের সদস্যরা স্বল্প শিক্ষিত হলেও নিজেদের সবাই উচ্চ শিক্ষিত বলে দাবি করে।  নামসর্বস্ব কিছু পত্রিকার সাংবাদিক বলে নিজেদের পরিচয় দেয়।  রাসেল প্রথমে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে।  পরে সে তার স্ত্রীকে ওই ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে চাঁদা দাবি করে।  চাঁদা না দিলে সংঘবদ্ধ চক্রটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করবে এবং মামলার ভয় দেখায়।’ এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ এপ্রিল ২০১৯/নূর/সাইফুল