আইন ও অপরাধ

খালেদা জিয়ার খনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানি হয়নি। বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের কারা ভবনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী চার্জ শুনানির তারিখ আগামী ১৯ জুন ধার্য করেন। এদিন এ মামলায় চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু  খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য তার পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, এ মামলার এক আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা গেছেন। সে বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। এছাড়া, এ মামলার আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সে বিষয়ে আদালত আপনি জানেন। এজন্য চার্জ শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন করছি। দুদকের পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ মামলার আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা গেছেন। সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেনি। খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাই পরবর্তী শুনানির জন্য সময় দেওয়া হোক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক পরবর্তী চার্জ শুনানির তারিখ ১৯ জুন ধার্য করেন। এ মামলায় আসামি ছিল ১৩ জন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামি ১১ জন। সম্প্রতি ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা গেছেন। আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়া, প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, প্রাক্তন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রাক্তন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার প্রাক্তন পরিচালক মুঈনুল আহসান, প্রাক্তন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন। ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অনুমোদন দিয়ে কয়লা উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি হয়। পরে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ মে ২০১৯/মামুন খান/রফিক