আইন ও অপরাধ

বাস থেকে ফেলে পিষে হত্যা : চালক-কন্ডাক্টরের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : বাস থেকে ফেলে যাত্রী সালাউদ্দিনকে পিষে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসচালক ও কন্ডাক্টর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ তারা  স্বীকারোক্তিমূল জবানবন্দি দেয়। গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মীর রকিবুল হক জানান, দুপুরে বাসচালক রোকন উদ্দিন এবং বিকেলে কন্ডাক্টর আনোয়ার গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. শামীমা খাতুনের আদালতে পৃথক পৃথকভাবে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূল জবানবন্দি দিয়েছে। প্রসঙ্গত, যাত্রী সালাউদ্দিন স্ত্রীসহ রোববার সকালে ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে আলম এশিয়ার একটি বাসে চড়ে গাজীপুর সদরের বাঘেরবাজার এলাকার কর্মস্থলে আসছিলেন। বাসের মধ্যে ভাড়া নিয়ে কন্ডাক্টর ও হেলপারের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে বাসটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘেরবাজার এলাকায় এলে সালাউদ্দিন বাস থেকে নামার সময় কন্ডাক্টর ও হেলপার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং তার স্ত্রীকে বাস থেকে না নামিয়ে বাসটি নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে চালক। এ সময় সালাউদ্দিন ও সেখানে থাকা তার ভাই জামাল উদ্দিন বাসের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বাসটির গতিরোধ করার চেষ্টা করে। চালক বাস না থমিয়ে সালাউদ্দিনকে পিষ্ট করে এলাকা ত্যাগ করে। এতে ঘটনাস্থলেই সালাউদ্দিন মারা যায়। কিছুদূর যাওয়ার পর বাস থেকে সালাউদ্দিনের স্ত্রীকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। আরো কিছুদূর গিয়ে বাসটি মহাসড়কের পাশে রেখে চালক, কন্ডাক্টর ও হেলপার পালিয়ে যায়। নিহতের ছোট ভাই জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, বাঘেরবাজার এলাকায় বাসের কন্ডাক্টর, হেলপার তার ভাইকে লাথি মেরে বাস থেকে ফেলে দেয়। পরে এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা হয়। পরদিন সোমবার বিকেলে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে রোকন উদ্দিনকে (৩৫) এবং একই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকা থেকে কন্ডাক্টর আনোয়ারকে (৩০) গ্রেপ্তার করে জয়দেবপুর থানা পুলিশ। বাসচালক রোকন উদ্দিন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার নয়াপাড়া এলাকার মো. কামালের ছেলে এবং কন্ডাক্টর আনোয়ার শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানার পোড়াবাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। রাইজিংবিডি/গাজীপুর/১১ জুন ২০১৯/হাসমত আলী/সাইফুল