আইন ও অপরাধ

শিশু হাসপাতালে ডাক্তার পায়নি দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা শিশু হাসপাতালে ডাক্তারদের যথাসময়ে উপস্থিত না হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার ঢাকা শিশু হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে অভিযানে এমন চিত্র পাওয়া যায়। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাউফুল ইসলামের নেতৃত্বে মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিন অভিযানে দেখা যায়, এই হাসপাতালের ডাক্তাররা হাসপাতালে যথানিয়মে উপস্থিত হন না- এরূপ প্রমাণ পায় দুদক টিম। এই টিমের সদস্যরা মে-জুন মাসের বায়োমেট্রিক হাজিরা খতিয়ে দেখেন। একজন চিকিৎসক দীর্ঘদিন অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানা যায়। এছাড়া আরো কয়েকজন ডাক্তার সঠিকভাবে হাসপাতাল উপস্থিত হননি- এরূপ প্রমাণ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে হাসপাতালের পরিচালককে পরামর্শ দিয়েছে দুদক টিম। দুদক টিম আরও জানতে পারে, হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে একটি প্রশাসনিক তদন্ত প্রতিবেদন ব্যবস্থাপনা বোর্ডের নিকট কিছু সুপারিশসহ দাখিল করা হয়েছিল কিন্তু অদ্যাবধি সেই সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। দুদক টিম অবিলম্বে উক্ত রিপোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে হাসপাতালের পরিচালককে পরামর্শ প্রদান করে। এদিকে রাজউকের অনুমোদনবিহীন নকশা অনুসারে ভবন নির্মাণের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ জাহিদ কালামের নেতৃত্বে রাজউক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে রাজধানীর আদাবরে এ অভিযান পরিচালিত হয়। উত্তর আদাবরের বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির রোড নম্বর ৬ এর একটি বাড়িতে অনুমোদিত নকশার বাইরে বেশ কিছু অংশ নির্মিত হয়েছে বলে প্রমাণ পায় সমন্বিত টিম। আগামি ৫ জুলাইয়ের মধ‌্যে ভবনের বর্ধিতাংশ অপসারণে নোটিশ প্রদান করে রাজউক। এছাড়াও উক্ত নির্মাণাধীন ভবনের মালিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন এমএলএসএস বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়ে অবৈধভাবে এ বাড়িটি নির্মাণ করেছেন এরূপ তথ্য পাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার অনুমতি চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম। অন‌্যদিকে চট্টগ্রামে পাসপোর্ট অফিসে হয়রানির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। সরেজমিন অভিযানে বিভিন্ন অজুহাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। দালালদের দৌরাত্ম এবং সাধারণ সেবা গ্রহীতাগণের হয়রানি অপসারণে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করে দুদক টিম। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারি চাল ক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইল-এর একটি টিম আজ মির্জাপুরে এ অভিযান পরিচালনা করে। সরেজমিন অভিযানে দুদক টিম জানতে পারে, উক্ত এলাকায় দুটি রাইস মিল বন্ধ থাকা সত্বেও তাদের নিকট হতে চাল ক্রয়ের দেখিয়ে অনৈতিকভাবে অবৈধ অর্থ আয় করা হচ্ছে। এ অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম। কুষ্টিয়ায় দুটি মহাসড়কের বেশ কিছু জায়গায় সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের অপর টিম। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুষ্টিয়ার একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত সড়কে নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের বিষয়ে প্রথমিকভাবে অবহিত হয়ে অবিলম্বে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কারে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে নির্দেশনা দেয় দুদক টিম। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুন ২০১৯/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ