আইন ও অপরাধ

খাদেমের লাশ ভাঙ্গা কবরে ফেলার পরিকল্পনা করেন সহকারী খাদেম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর লালবাগে খাদেম হানিফ শেখ (৩০) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত প্রধান আসামি সহযোগী খাদেম সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার ধানমণ্ডিতে পিবিআইর প্রধান কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানিয়েছেন পিবিআই প্রধান পুলিশের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি সাইফুলকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে আজিমপুর গোরস্থানের মেয়র হানিফ জামে মসজিদের খাদেম হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন হয়েছে’।

গ্রেপ্তার সাইফুলের বরাত দিয়ে পিবিআই প্রধান বলেন, ‘ওই মসজিদে তিনজন খাদেম ও একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী কর্মরত ছিল। এদের মধ্যে আসামি সাইফুল সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতো না। ফলে, ভিকটিম আবু হানিফকে প্রধান খাদেম বানানো হয় ও সাইফুলকে তার সহযোগী করা হয়। সাইফুল আবু হানিফের প্রধান খাদেম হওয়া মেনে নিতে পারেনি। হানিফের বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা উপেক্ষা করতো’।

 

এদিকে চলতি মাসের ২ তারিখে জোহরের নামাজ পড়ে ভিকটিম হানিফ আসামি সাইফুলকে একটি কাজ দেন। সে কাজটি করতে অস্বীকার করলে, দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর দুপুরে খাবার শেষ করে আবু হানিফ মসজিদের পাশে তার রুমে ফ্লোরে ঘুমিয়ে পড়ে। এ সময় ঘরে কেউ ছিলো না। এই সুযোগে সাইফুল দরজা লাগিয়ে দিয়ে রান্না ঘর থেকে একটা চাকু এনে ভিকটিম হানিফের বুকে ও গলায় একের পর এক আঘাত করে। হানিফ জেগে উঠলে এক হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে, সাইফুল উপর্যুপরি হানিফের বুকে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। তারপর তিনি বাইরে থেকে প্লাস্টিকের বস্তা ও পলিথিন নিয়ে আসেন।

পিবিআই'য়ের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সেই পলিথিন এর মধ্যে পেচিয়ে বেলকুনিতে একটি বাঁশে ঝুলিয়ে রেখে দেয়। তার ইচ্ছে ছিলো ভাঙ্গা কোনো কবরে লাশ ফেলে দিয়ে গুম করে দিবে। সুযোগ না পেয়ে সাইফুল তার বাবা মারা গেছে বলে রাতেই চলে যান।

এদিকে রাত যতো গভীর হতে থাকে, খুন হওয়া খাদেম হানিফের লাশের গন্ধ ততো বের হয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে ক্লিনার ও অন্য আরেকজন খাদেম ভিকটিমের লাশ খুঁজে পান।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ জুলাই ২০১৯/নূর/হাকিম মাহি