নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান চার্জশিট গ্রহণ করেন। পাঁচজনকে অব্যাহতির আদেশ দেন আদালত।
আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিগ্যান (২১), সালাহ্ উদ্দিন কামরান (৩০), আব্দুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ (২০), শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০), আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুল মেন (৩৩) ও হাদিসুর রহমান সাগর (৪০)।
আসামিদের মধ্যে আজাদুল কবিরাজ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২৮ আগস্ট গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। অপর নয় আসামি কারাগারে আছে। শুনানিকালে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পাঁচজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। গত ৯ মে মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজ বিল্ডিং’ বাড়ির পঞ্চম তলায় ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই ভোরে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে নয় সন্দেহভাজন জঙ্গি মারা যায়। হাসান নামের একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। পালিয়ে যায় একজন। তারা সবাই জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
ওই ঘটনায় ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় মামলা করেন। মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুলাই ২০১৯/মামুন খান/রফিক