আইন ও অপরাধ

তদন্তে সত্যতা পেলেই ব্যবস্থা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: সিটি ব্যাংকের এমডিসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার জোর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তে সত্যতা মিললে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বুধবার দুপুরে গুলশান থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ব্যাংকের সাবেক এক নারী কর্মকর্তাকে কুপ্রস্তাব দেন ওই তিন কর্মকর্তা। সাড়া না দেয়ায় তাকে চাকরিচ্যুতও করা হয়।

রোববার গুলশান থানায় মামলাটি করেন ব্যাংকের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরা সুলতানা পপি।

গুলশান থানার পুলিশ জানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪০৬/৫০৬ ধারায় মামলাটি করা হয়। যেখানে শ্লীলতাহানি, শ্লীলতাহানিতে সহায়তা এবং অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও হুমকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন-সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন, হেড অব সিএসআরএম আবদুল ওয়াদুদ এবং বোর্ড সেক্রেটারি কাফি খান।

বাদি অভিযোগ করে বলেন, ‘ব্যাংকে যোগদানের পর মাসরুর আরেফিন ইভটিজিং করেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জন ব্যক্তি হওয়ায় সব সহ্য করেছি। তাদের ডাকে সাড়া না দেয়ায় আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। বাধ্য হয়ে মামলাটি করলাম।’

এদিকে মামলাটি হওয়ার পর প্রশাসনে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে গোয়েন্দারাও তদন্তে নেমেছে। শিগগিরই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে মামলার বাদি পপির বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৯/মাকসুদ/হাকিম মাহি