আইন ও অপরাধ

স্ত্রীসহ গোয়ালন্দ থানার সাবেক ওসির কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও তার স্ত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় গোয়ালন্দ থানার সাবেক ওসি (অব.) সাইফুল ইসলামকে সাত বছর ও তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম অনুকে দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সাইফুল ইসলামকে তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তার স্ত্রীকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাস কারাগারে থাকতে হবে।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া সম্পদ গোপন ও জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের আরেক মামলায় সাইফুল ইসলামকে পৃথক দুই ধারায় আরো সাত বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ মামলায় দুদক কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং দুদক কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) পাঁচ বছর কারাদণ্ডে পাশাপাশি দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর কারাভোগ করতে হবে।

পৃথক তিন ধারায় সাইফুল ইসলামের কারান্ডাদেশ একসাথে কার্যকর হবে। সে হিসেবে সাইফুল ইসলাম সাত বছর কারাভোগ করতে হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাইফুল ইসলামকে ও তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম অনুকে আসামি করে ২০১০ সালের ২২ জুন রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোজাহার আলী সরদার। এজাহার থেকে জানা যায়, দুদক সাইফুল ইসলাম এবং তার স্ত্রীকে সম্পদের নোটিশ জারি করে। ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সাইফুল ইসলাম নিজ নামে, স্ত্রী ও পোষ্যদের নামে অর্জিত সর্বমোট ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ২১ টাকার সম্পদ গোপন করে কমিশনে তথ্য দেন। আর জাকিয়া ইসলাম ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার তথ্য কমিশনে জমা দেন। ২ কোটি ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৬ টাকার যথার্থ উৎস না থাকায় এবং বিপুল পরিমান জ্ঞাতআয় বর্হিভূত সম্পদ নিজ দখলে রাখার অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে।

এছাড়া সম্পদ গোপন করে কমিশনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৯২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন অভিযোগে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই দিন মোজাহার আলী সরদার মামলাটি দায়ের করেন।

২০১১ সালের ৪ আগষ্ট আদালত দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১আগষ্ট ২০১৯/মামুন খান/ সাজেদ