আইন ও অপরাধ

পৌনে ৪ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভুয়া রপ্তানি দেখিয়ে আলপা কম্পোজিট টাওয়েল লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির ঘটনা উদঘাটিত হয়েছে।

ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেটের একটি টিমের আকস্মিক পরিদর্শনে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে তারা দাবিনামা ইস্যু করেছে। শুধু তাই নয় আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ওই ভ্যাটের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা পশ্চিমের ভ্যাট কমিশনার ড. মইনুল খান এ সংক্রান্ত দাবিনামা চূড়ান্ত করে প্রতিষ্ঠান বরাবর নোটিশ জারি করেছেন। ভ্যাট কমিশনার রাইজিংবিডিকে এসব নিশ্চিত করেছেন।

ভ্যাট কমিশনার কর্তৃপক্ষ জানায়, আলপা কম্পোজিট টাওয়েল লিমিটেড মূলত টেরিটাওয়েল উৎপাদন করে। এটি সাভারের পলাশবাড়ী আশুলিয়াতে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত প্রায় ৭১৬৭ মেট্টিক টন পণ্য (টেরি টাওয়েল) রপ্তানি দেখিয়ে শূন্য হারে ভ্যাট চালান ইস্যু করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকস্মিক পরিদর্শন করে ভ্যাটের একটি দল কারখানা থেকে কাগজপত্র জব্দ করে।  জব্দকৃত কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায় এসব পণ্য প্রকৃত অর্থে রপ্তানি হয়নি। এসব পণ্য তারই অন্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করেছেন। উক্ত পণ্যের উপর প্রযোজ্য ভ্যাট পরিহারের উদ্দেশ্যে শূন্য হারে মূসক চালান ইস্যু করেছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে শুনানির সুযোগ দিলেও রপ্তানি প্রমাণিত দেখাতে পারেননি।

সূত্র আরো জানায়, কাগজপত্র পর্যালাচনা করে ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইনের ধারা ৫৫(৩) অনুসারে এই চূড়ান্ত দাবিনামা জারি করা হয়। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এই ভ্যাটের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে সময় বেঁধে দেয়া হয়।

ফাঁকিকৃত ভ্যাট আদায়ের পাশাপাশি প্রদেয় সময় থেকে মাসিক ২ শতাংশ হারে অতিরিক্ত হিসেবে সুদও সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে। সময়মত ফাঁকিকৃত ভ্যাট সরকারি খাতে জমা দিতে ব্যর্থ হলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ আগস্ট ২০১৯/এম এ রহমান/জেনিস