আইন ও অপরাধ

তাহেরির বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈমানী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরির বিরুদ্ধে যে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছিল তা খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সম্প্রতি ওয়াজ মাহফিলে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলাটি গ্রহণ করার মতো পর্যাপ্ত উপাদান না থাকায় তা খারিজ করে দেন।

এরআগে রোববার আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য মো. ইব্রাহিম খলিল।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করেন। পরে মঙ্গলবার আদেশের জন্য রাখা হয়।

এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিভিশনের কথা জানিয়েছেন ইব্রাহিম খলিল।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ইসলাম ধর্মের পথ প্রদর্শক হযরত মুহাম্মদ (স:) এর প্রেরিত আদর্শ বিধি নিষেধ অনুযায়ী ইসলাম ধর্ম পরিচালিত হলেও ধর্মীয় কোনো গ্রন্থ আসামির ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে নাচ, গান সমর্থন করে না। ইসলাম ধর্মের সে রীতিনীতি অনুযায়ী তার কর্মকাণ্ড মুনাফিকির শামিল। ইসলামী ওয়াজের মধ্যে গান গাওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। এক ব্যক্তির উক্তি দিয়ে তার বিড়ি খাওয়ার দোয়াটি ইসলামের কোথাও নেই। তার এ বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করা হয়েছে। ‘আসেন আসেন বইসা যান, ঢেলে দেই’যা সম্পূর্ণ অশ্লীল। ইসলাম ধর্মে এ রকম শব্দের উল্লেখ নেই। কিছু কিছু ইউটিবারকে তিনি ধান্দাবাজ বলে উল্লেখ করেন।

আরো অভিযোগ করেন, আসামির এসব কর্মকাণ্ড ইসলামে বিদ’আত বলে গণ্য। তিনি ইসলাম ধর্মের অপপ্রচারকারী। ইউটিউব, ফেইসবুকসহ তার প্রচারিত ভিডিওসমূহে দেখা যায়, তিনি ওয়াজের মধ্যে নাচ- গান করেন। আসামি ভক্তদের নিয়ে জিকিরের নামে নাচ-গান করেন।

আসামির এসব কর্মকাণ্ড ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচার করে ধর্মীয় অনুভূতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাত সৃষ্টি করে। আসামির এমন ওয়াজ মাহফিলের নামে ভণ্ডামী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, অনলাইনে প্রচার করে ইসলাম ধর্মের মধ্যে ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টি করে এবং ধর্মীয় মানুষকে সঠিক শিক্ষা প্রদান না করে ভুল বুঝিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর উপক্রম রয়েছে।

এ বিষয়ে বাদী গত ৩১ আগস্ট কোতয়ালী থানায় মামলা করতে যান। থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি না নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। এরপর বাদী আদালতে মামলার আবেদন করে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯/মামুন খান/হাকিম মাহি