আইন ও অপরাধ

যন্ত্রের মাধ্যমে চলতো জুয়া (ভিডিও)

ক্যাসিনো শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে লাস ভেগাস, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডের চোখ ধাঁধানো বিলিয়ন ডলারের ঝলমলে জুয়ার আস্তানাগুলো। বাংলাদেশে ক্যাসিনো আছে এটা হয়ত বেশির ভাগ সাধারণই জানতেন না।

ক্লাব আছে, জুয়া খেলা হয়, রঙিন পানীয়তে বুঁদ উঠতি আর বিত্তদের মাঝরাত অবদি নাচগানের আসরের খবর অনেকেরই জানা। কিন্তু ক্লাবের সাইনবোর্ডের আবডালে ইউরোপ-আমেরিকার ধাঁচে ক্যাসিনোর ব্যবসা? সত্যিই চোখ কপালে ওঠার মত খবর।

ফকিরাপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত জুয়ার ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। নানা যন্ত্রের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছিল ভিন্ন ধরনের জুয়া। জুয়ার পাশাপাশি হাত বাড়ালেই মিলতো মাদক।

বুধবার অভিযান পরিচালনা করে ফকিরাপুলের এ ক্যাসিনো থেকে ১৪২ জনকে আটক করে র‌্যাব। অভিযান শেষে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, এই ক্লাবে আট মাস ধরে অবৈধ আসর বসছিলো। ক্লাবের নিচতলায় যন্ত্রের মাধ্যমে জুয়া খেলা (ক্যাসিনো) হতো। জুয়াই নয়, হাত বাড়ালেই মিলতো বিদেশি মদ-বিয়ার, এমনকি ইয়াবা ট্যাবলেট।

সরেজমিন দেখা যায়, ক্লাবটির নিচতলার পুরোটাই বিভিন্ন রঙের ঝলমলে আলোকসজ্জায় পরিপূর্ণ। হাতের ডানে জুয়া খেলার যন্ত্র। পাশেই সাজানো গোছানো কাপের্ট দিয়ে মোড়ানো বিভিন্ন ডিজাইনের টেবিল। যার ওপর জুয়াড়িরা পশ্চিমা ধাচে জুয়া খেলে। টাকা লেনদেন করে। আর বামে রয়েছে পরিপাটি গোছানো একটি বার। বারের সামনে টেবিল, বিভিন্ন শো-কেসে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মদের বোতল, বিয়ার সাজানো। সামনেই চারটি রুম। সেগুলো এসি লাগানো। চাইলেই এখানে একান্ত সময় পার করা যায়। যদিও এজন্য গুণতে হয় বাড়তি টাকা। সব মিলে দৈনিক যা লেনদেন হতো তার বড় একটি অংশ চলে যেত ক্লাব সভাপতি ও যুবলীগ নেতা খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়ার কাছে। অভিযানের পর ক্লাবটি সিলগালা করেছে র‌্যাব।

ঢাকা/মাকসুদ/নবীন হোসেন/নাসিম