আইন ও অপরাধ

ভুয়া ভ্যাট চালানে লেনদেন, নথি জব্দ

ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ভ্যাট আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর 'রিচ বেবি’ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট।

বৃহস্পতিবার অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মিরপুরের নিউমার্কেটের ‘রিচ বেবি’ নামের দোকানের নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেটের কলসেন্টারের ১৬৫৫৫নম্বরে আসা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়।

ঢাকা পশ্চিমের ভ্যাট কমিশনার ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট জানায়, ভুয়া ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করার অভিযোগের সূত্র ধরে মিরপুরের একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়।মিরপুর নিউমার্কেটে অবস্থিত ‘রিচ বেবি’ নামক একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

ভ্যাটের এনফোর্সমেন্ট দল অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রথমে ওই দোকান হতে একটি পণ্য কেনে।দোকান কর্তৃক সরবরাহকৃত চালানে দেখা যায়, মূসক ৬.৩ এ যে রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি ব্যবহার করা হয়েছে তা ভুয়া। চালানে উল্লেখ করা রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি মূলত ভ্যাট জমার কোড।বর্তমান নতুন আইনে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৩ ডিজিটের এবং ভ্যাট জমা প্রদানের কোডও ১৩ ডিজিটের হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া চালান ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে মর্মে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দোকান কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা এখনো ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করেননি। জব্দকৃত তথ্যে দেখা যায়, কম্পিউটারে রক্ষিত ইনভয়েসের সিরিয়াল নম্বরে গরমিল রয়েছে।

কলসেন্টারে আসা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় পরবর্তীতে দোকানের কম্পিউটারে রক্ষিত হিসাবপত্র জব্দ করা হয়। দোকান থেকে প্রাপ্ত দলিলাদি থেকে ফাঁকি দেয়া ভ্যাট নির্ণয় প্রক্রিয়ধীন আছে।

অভিযোগ দায়েরকারী জনৈক মহিউদ্দিন মুইদ।তিনি ‘ভ্যাট চেকার’ অ‌্যাপস ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের একটা চালান সাথে যুক্ত করে ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেটের কাছে পাঠান।

পাঠানো চালানে দেখা যায় ‘রিচ বেবি’ থেকে ১৫০ টাকার পণ্য কিনেছেন মহিউদ্দিন মুইদ। কিন্তু দোকান কর্তৃপক্ষ আলাদাভাব ৭.৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করে মোট মূল্য রেখেছেন ১৬১ টাকা।এক্ষেত্রে ক্রেতাকে ১১ টাকা ভ্যাট দিতে হয়েছে।তবে প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধিত না হওয়ায় ক্রেতাদের নিকট থেকে আদায় করা এই ভ্যাট নিজে আত্মসাত করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

নতুন ভ্যাট আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাসহ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ভ্যাট কর্তৃপক্ষ। ঢাকা/এম এ রহমান/রফিক