আইন ও অপরাধ

মাদক ব‌্যবসার জন্য ক্লাবকেই নিরাপদ মনে করতেন শফিকুল

কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিজ হেফাজতে রেখে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতেন। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের অফিসকে নিরাপদ মনে করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে সেখানে মাদক ব‌্যবসাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজ করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি।

শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

শনিবার অস্ত্র আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার এসআই মো. নুর উদ্দিন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার তদন্তকারী একই থানার এসআই আশিকুর রহমান ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে রিমান্ড শুনানি হবে।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার বাদী র‌্যাব-২ এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ খান শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, ধানমন্ডি মডেল থানাধীন কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের কার্যালয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এবং মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় চলছে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউছুল আজম অভিযান চালান। অফিস কক্ষ তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, ৯৯০ পিস ইয়াবা এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাবের হেফাজতে নেয়া হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে অভিযান চালায় র‌্যাব। শুক্রবার রাতেই তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন র‌্যাব-২ এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ খান।

 

ঢাকা/মামুন খান/রফিক