আইন ও অপরাধ

আনসার সদস্য হত্যায় তিন ছিনতাইকারীর মৃত্যুদণ্ড

রাজধানীর শ্যামলীতে ১৭ বছর আগে ছিনতাইকারীদের গুলিতে আনসার সদস্য ফজলুল হক নিহতের মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাপ্পু ওরফে অন্তু (পলাতক), তারিকুর রহমান ওরফে শিবলী হোসেন ওরফে উজ্জল (পলাতক) এবং শুক্কুর আলী ওরফে সোহেল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি শুক্কুর আলীকে আরেক ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো ছয় মাস কারাগারে থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ১৩ মার্চ সকাল পৌনে ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত রাজধানীর শ্যামলীর ২ ও ৩ নম্বর রোডে দায়িত্ব পালন করছিলেন আনসার কনস্টেবল আব্দুল জলিল ফরাজী ও ফজলুল হক। বেলা পৌনে ১টার দিকে ৩ নং রোডের মাথায় কনস্টেবল আকমান হোসেন গুলির শব্দ শুনতে পান। তিনি এগিয়ে দেখেন, ফজলুল হক পড়ে আছেন। জলিল ফরাজী ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন। ছিনতাইকারীরা রিভলবার দিয়ে আকমান হোসেনকে গুলি করে। আকমান হোসেনও তার শটগান দিয়ে এক রাউন্ড গুলি করেন। ছিনতাইকারীরা জলিল ফরাজীকে গুলি করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ফজলুল হককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আকমান হোসেন ওই দিনই মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরের বছর ৩১ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে এসআই নূরে আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৪ সালের ১০ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পিপি আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা এবং আসামিপক্ষে ছিলেন মনির হোসেন মারুফ। ঢাকা/মামুন খান/রফিক