আইন ও অপরাধ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন শফিকুল আলম

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ওরফে ফিরোজকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনূর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-২ এর এসআই জসিম উদ্দিন খান আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মামলা সংক্রান্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। যা তদন্তের স্বার্থে গোপন রেখে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জামিন পেলে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এজন্য আসামির জামিনের বিরোধিতা করেন তদন্ত কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন।

আসামিপক্ষে মাসুদ এ চৌধুরীসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিনের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার চিকিৎসার আবেদন করলে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসা গ্রহণের আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাবের হেফাজতে নেয়া হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানকালে সাত প্যাকেট ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। শুক্রবার রাতেই তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন র‌্যাব-২ এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ খান।

পরদিন আদালত দুই মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৩০ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৬ অক্টোবর মাদক মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা/মামুন খান/সাইফ