আইন ও অপরাধ

পুলিশ কর্মকর্তা ও ভাইদের বিরুদ্ধে মামলা

পৌনে ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সাবেক ওসি মো. রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীসহ তার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী বর্তমানে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জে কর্মরত।

রোববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে সংস্থাটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন- মো. আফতাব উল্লাহ চৌধুরী ও মো. হাফিজ উল্লাহ চৌধুরী। আসামিরা কুমিল্লার লাকসামের দৌলত বাজার এলাকার রহিম উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৯ লাখ ২৫ হাজার ৬৬৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে ১ কোটি ৬৯ টাকা স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করেন তারা।

এজাহারে বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর নামে এবি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ১২টি হিসাবের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া, তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার রুমার নামে এবি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ছয়টি হিসাবের তথ্য পাওয়া যায়। রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ তার স্ত্রী রুমার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন।

এজাহার সূত্র আরো জানা যায়, রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী স্ত্রী নাসরিন আক্তার রুমার ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত টাকা নিজের নামীয় বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে উত্তোলন করেন। এছাড়া, তার ব্যাংক হিসাব থেকে ভাই আফতাব উল্লাহ চৌধুরীকে ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকার দুটি পে-অর্ডার দিয়েছেন এবং আফতাব উল্লাহ চৌধুরীর নামে ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ফ্ল্যাট কিনেছেন।

রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা থেকে চট্টগ্রামে একটি ভবনে ২১৫০ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার রুমার নামে কিনেছেন। এসব সম্পত্তির বিষয়ে রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

২০০৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এসব অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী। ঢাকা/এম এ রহমান/রফিক