মাদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আরমানকে আদালতে হাজির করে ফের ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আবদুল হালিম।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যা মামলার তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আসামি রাজনৈতিক পদ ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় মাদকের ব্যবসা করে আসছে। আসামির দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য তার উপস্থিতিতে আরো আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা, বিদেশি মদ ও ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহের বিভিন্ন তথ্য উদঘাটন, বিক্রয়ের সাথে কে কে জড়িত তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ, আসামি কার কাছ থেকে এবং কোথা থেকে এসব সংগ্রহ করেছেন এবং মাদক ব্যবসার টাকা কোথায় রেখেছেন সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য আসামিকে আরো রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এবং হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।
আরমানের পক্ষে সাইফুল ইসলাম সুমন রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, মামলার ঘটনার তারিখ ৬ অক্টোবর। আর মামলা হয় ৭ অক্টোবর। ৬ অক্টোবর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ছয় মাসের সাজা দিয়ে কুমিল্লা জেলে পাঠান। মামলা যখন হলো তখন তো তিনি জেলে ছিলেন। আর তার বাসা থেকে কিছু উদ্ধার করা হয়নি। আরমান সহযোগী আসামি। তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখানে রিমান্ডের যৌক্তিকতা নেই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার আরমান। তার রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ঈসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ১৫ অক্টোবর অস্ত্র এবং মাদক আইনের মামলায় সম্রাটের পাঁচ দিন করে ১০ দিন এবং মাদক মামলায় আরমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা/মামুন খান/রফিক