আইন ও অপরাধ

পাখির বাসা কখনোই ভাঙা যাবে না: হাইকোর্ট

কখনোই পাখির বাসা ভাঙা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামকে কেন অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি অভয়ারণ্য ঘোষণা করলে ওই আম বাগান ইজারাদারদের কি পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত  হওয়ার সম্ভাবনা আছে তা ৪০ দিনের মধ্যে জানাতে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগান থেকে পাখি তাড়িয়ে সংক্রান্ত   পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর আদালত এ মন্তব্য করেন।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে  এ  আদেশ দেন।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পাখিদের বাসা ছাড়তে সময় দেওয়া হলো ১৫ দিন’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রজ্ঞা পারুমিতা রায়।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সামীউল আলম সরকার।

‘পাখিদের বাসা ছাড়তে সময় দেয়া হলো ১৫ দিন’ শীর্ষক প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, পাখিদের বাসা ছাড়ার সময় দেয়া হয়েছে ১৫ দিন। এর মধ্যে পাখিরা বাসা না ছাড়লে তাদের বাসা থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে। এমনকি তাদের বাসা ভেঙে দেওয়া হবে। এ ঘোষণা শুনে কেউ হয়তো রসিকতা মনে করতে পারে কিন্তু এটাই বাস্তব। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামে। কয়েক হাজার শামুকখোল পাখি এই হুমকির মুখে পড়েছে।

 

ঢাকা/মেহেদী/সাইফ