আইন ও অপরাধ

শামীম-খালেদের রিমান্ড শেষ

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কথিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত রিমান্ডে শেষ দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনর নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।  

জি কে শামীমকে পঞ্চম দিন ও খালেদকে চতুর্থ দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করে রিমান্ড শেষ করেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে পাঠানো হয়।

যদিও দুজনকেই সাত দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিলেন আদালত।

এ বিষয়ে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করছিলেন। জি কে শামীমকে পাঁচ দিন ও খালেদকে চার দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আপতত আর জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

এর আগে ৩ নভেম্বর জি কে শামীম ও ৪ নভেম্বর খালেদ মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে আনা হয়।

গত ২৭ অক্টোবর দুদকের এক আবেদেনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিলেন।

গত ২১ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ খালেদ ও শামীমের বিরুদ্ধে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন।

‘অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ’ ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করার অভিযোগ আনা হয় সেখানে।

আর খালেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের আরেক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

এই মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ক্লাবপাড়ায় অভিযান শুরুর প্রথমদিনেই গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয় ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে।

 

ঢাকা/এম এ রহমান/ইভা