আইন ও অপরাধ

ফিরোজের ক্যাসিনোর অর্থ পেতেন কাউন্সিলর সেন্টু

অস্ত্র আইনের মামলায় রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে র‌্যাব-২।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-২ এর এসআই (নিরস্ত্র) জসিম উদ্দিন খান গত ৭ নভেম্বর আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন।

মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে চার্জশিটটি উপস্থাপন করা হয়। আদালত চার্জশিট দেখেছেন। শিগগিরই মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, শফিকুল আলম ফিরোজের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় প্রথমে ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ, পরে ডিবি পুলিশ এবং সর্বশেষ র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ মামলা তদন্তে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে শফিকুল আলমের ১৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে আসামি জানান, আগে তিনি ক্যাসিনো ব্যবসা করতেন। ক্যাসিনো ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থের একটি বড় অংশ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টুকে দিতেন।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, শফিকুল আলম ফিরোজ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটনের জন্য নিজ হেফাজতে লাইসেন্স ব্যতীত অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা-বারুদ রেখে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের (সংশোধনী/২০০০) ১৯ এ ধারার অপরাধ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলম ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাবের হেফাজতে নেয়া হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানকালে সাত প্যাকেট ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। ওই দিন রাতেই তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন র‌্যাব-২ এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ খান।

পরদিন আদালত দুই মামলায় শফিকুল আলম ফিরোজের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৩০ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৬ অক্টোবর মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১০ অক্টোবর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। ঢাকা/মামুন খান/রফিক