আইন ও অপরাধ

এফআর টাওয়ারের জমির মালিকসহ ৩ জন কারাগারে

বনানীর এফআর টাওয়ারের জমির মালিকসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

ভবনের নকশা জালিয়াতির মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

রোববার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো তিন আসামি হলেন- এফ আর টাওয়ারের জমির মালিক সৈয়দ মো. হোসেন ইমাম ফারুক (এস এম এইচ আই ফারুক), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক ইন্সেপেক্টর মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী নান্নু ও রাজউকের সাবেক উপ-পরিচালক (স্টেট) মো. শওকত আলী।

গত ৫ নভেম্বর এ তিন আসামির জামিন আবেদন খারিজ করে ৭ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।

আদেশের বিরুদ্ধে তিন আসামি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পিটিশন দাখিল করেন। গত ১১ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এ ছাড়া আসামিদের এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সেই আদেশ মোতাবেক আসামিরা আইনজীবীদের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে একই আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ১৬ থেকে ২৩ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গত ২৫ জুন ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক আবুবকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলা করেন।

এ মামলায় ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা নির্মাণ, বন্ধক প্রদান ও বিক্রি করার অভিযোগে দণ্ডবিধির সাতটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

অপর মামলায় এফআর টাওয়ারের ১৫ তলা অনুমোদন থাকলেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ লঙ্ঘন করে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অভিযোগ আনা হয় হয়। এই মামলায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন। ঢাকা/মামুন খান/ইভা