আইন ও অপরাধ

শিশু সামিয়া হত্যা মামলা বদলির আদেশ

রাজধানীর ওয়ারীতে শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ৩০ অক্টোবর একমাত্র আসামি মো. হারুন অর রশিদকে (২৬) অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়ারী জোনাল টিম (নিরস্ত্র) মো. আরজুন।

বুধবার ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলামের আদালতে চার্জশিটটি উপস্থাপন করা হয়। আদালত তা দেখেছেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ বদলির আদেশ দেন।

এদিকে চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামি হারুন অর রশিদ তার আপন খালাত ভাই পারভেজের বাসায় প্রায় দুই মাস ধরে বসবাস করতো। ভুক্তভোগীর বাসা আর আসামির বসবাস করার ঠিকানা একই জায়গায়।

আসামি হারুন তার খালাত ভাইয়ের রংয়ের দোকানে কর্মচারি হিসেবে কাজ করত। গত ৫ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে পারভেজের ছোট ছেলে আরাফ অসুস্থ থাকায় তার জন্য ওষুধ নিতে হারুন বাসা থেকে বের হয়।

হারুন ফ্ল্যাটের দরজার সামনে আসলে একই বিল্ডিংয়ের ষষ্ঠ তলার ৬/বি নং ফ্ল্যাটের মালিক আবদুস সালামের ছয় বছর বয়সী মেয়ে সামিয়াকে দেখেন।

এর আগে সামিয়া মাঝে মধ্যে তার মায়ের সাথে পারভেজের বাসায় আসতো এবং আরাফের সাথে খেলাধুলা করতো। ওই দিন আরাফ অসুস্থ থাকায় সামিয়া আসামি হারুনকে ছাদ দেখানোর জন্য বলে। সামিয়া আসামি হারুনকে চাচ্চু বলে ডাকতো।

হারুন তখন সামিয়াকে নিয়ে ওই বিল্ডিংয়ের ৯ তলায় একটি খালি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। আসামি মনে মনে তখনই শিশু সামিয়াকে ধর্ষণ করবে বলে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক হারুন সামিয়াকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর সামিয়ার গলায় শক্ত পাটের রশি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

উল্লেখ্য, শিশু সামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার বাবা আব্দুস সালাম গত ৬ জুলাই ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ৭ জুলাই কুমিল্লার ডাবরডাঙা এলাকা থেকে আসামি হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন হারুন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে। ঢাকা/মামুন খান/সনি