তুচ্ছ ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের কর্মচারী আমির হোসেনকে (৪২) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধূমপানের কথা পরিবারকে জানানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে মো. ইব্রাহিম (১৮) ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করেন।
সোমবার এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে আসামি মো. ইব্রাহিম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মহসীন সরদার এতথ্য উল্লেখ করেন। আদালত ইব্রাহিমের জবানবিন্দ রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এদিন মামলাটিতে কামাল হোসেন নামে একজন সাক্ষী হিসেবে হাবিবুর রহমান চৌধুরীর আদালতে জবানবন্দি দেন।
এদিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘আমির হোসেন ঢামেক হাসপাতালের রেডিও থেরাপি বিভাগের এমএলএমএম পদের একজন কর্মচারী। তিনি ১ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ঢামেকের বর্হিঃবিভাগ মেইন গেইটের ভিতর দক্ষিণ পাশে অবস্থানকালে আসামি তাকে বলে, ‘তুই আমার সিগারেট খাওয়ার বিষয়টি আমার মাকে কেন বলেছিস?’
এই বলে আসামি আমির হোসেনকে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে আসামি রাগের বশবর্তী হয়ে দৌড়ে গিয়ে নিজ বাসা থেকে একটি ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে আসে। সাড়ে ৬টার দিকে সেই ব্যাট দিয়ে আমির হোসেনের মাথার পিছন দিকে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান। উপস্থিত লোকজন আমির হোসেনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনা ঘটিয়ে পালানোর সময় ঢামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত আনসার সদস্য এবং কর্মচারীরা ইব্রাহিমকে আটক করেন।
আমির হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় তার ভাই নূর হোসেন মামলাটি দায়ের করেন। ঢাকা/মামুন খান/সনি