আইন ও অপরাধ

দুর্নীতির মামলা থেকে মুক্তি দেন তারা!

দুর্নীতির মামলা দায়ের করে আবার আসামির তালিকা বাদ দেয়ার পথও বাতলে দেন তারা। বিনিময়ে নেন অনৈতিক আর্থিক সুবিধা। যদিও এতে দুর্নীতিবাজদের খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ সবই ভুয়া ও সাজানো নাটক।

এমন এক শক্তিশালী জালিয়াত চক্রকে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যারা দুদকে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে এমন এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে দাবি করে এবং উক্ত মামলা থেকে বাঁচানোর আশ্বাস দেয়।

নিপা বেগম এবং মো. দ্বীন ইসলাম নামের এমন দুই প্রতারক দুদকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছে থেকে ইতোমধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।

দুদকের সহকারী পরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক ও উপসহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি এনফোর্সমেন্ট টিম ওই অভিযান চালায়।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, দুদকের মামলা থেকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়ে এক প্রতারক চক্র অনুসন্ধানাধীন ব্যক্তির নিকট আর্থিক সুবিধা দাবি করেন এবং একটি ভুয়া এজাহারের কপি ইমো মেসেঞ্জারে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করে সহযোগিতা কামনা করেন। তৎপ্রেক্ষিতে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম আজ রোববার রাজধানীর কেরানীগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে অভিযোগকারীর সহায়তায় নিপা বেগম এবং মো. দ্বীন ইসলাম নামে দুই প্রতারককে আটক করে দুদক টিম। তাদের কাছ থেকে যথাক্রমে একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধির ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী পরিচয়ের ভুয়া আইডি কার্ড জব্দ কর হয়। তাদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়া আজ ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, দিনাজপুরের উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট হতে রানীরঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা মেরামত ও প্রশস্তকরণ কাজে যথাযথ মান নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান করে টিম।

 

ঢাকা/এম এ রহমান/সনি