আইন ও অপরাধ

পরীক্ষা ছাড়াই ফেল ৪৫২ চাকরি প্রার্থী !

চট্টগ্রাম বন্দরে স্টাফ অফিসার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুরুতে বড় ধরণের অনিয়মের মুখোমুখি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫৫৩ জন প্রার্থী নিয়মানুযায়ী আবেদন করলেও কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই অদ্ভূতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে ৪৫২ জন প্রার্থীকে।

যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি সিজিপিএর ভিত্তিতে প্রাথমিক বাছাইয়ে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে এমন গুরুতর অনিয়মের সত্যতা বেরিয়ে এসেছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দুদক জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকর্তৃক ট্রাফিক অফিসার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে আগত এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ হতে অভিযান পরিচালিত হয়।

সরেজমিন অভিযানকালে টিম জানতে পারে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্টাফ অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যেজন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫৫৩ জন প্রার্থী নিয়মানুযায়ী আবেদন করেন। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষার জন্য ১০১ জনকে বাছাই করা হয়। কিন্তু অবশিষ্ট ৪৫২ জন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। দুদক টিম এর কারণ জানতে চাইলে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ একটি কমিটির মাধ্যমে আবেদনকারীদের প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সিজিপিএর ভিত্তিতে প্রথম ১০১ জন প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে।

দুদক টিম এসময় এরূপ বাছাইয়ের জন্য কোন লিখিত সিদ্ধান্ত বা সরকারি নির্দেশনা রয়েছে কি না তা চাইলে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ তা প্রদর্শনে ব্যর্থ হন। সার্বিক বিবেচনায় এক্ষেত্রে সাধারণ আবেদনকারীদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ হতে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে টিমের কাছে মনে হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত চেয়ে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযানকারী টিম।

একই সময় টিম কাস্টমস হাউজ, চট্টগ্রাম এ শিপিং এজেন্টদের নিকট হতে অবৈধভাবে ঘুষ গ্রহণ ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে।  

ঢাকা/এম এ রহমান/নাসিম