আইন ও অপরাধ

ডেসটিনির রফিকুল আমীনের ৩ বছর কারাদণ্ড

ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সম্পদের তথ্য বিবরণী জমা না দেওয়ার মামলায় আদালত এ রায় দেন।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৮ এর বিচারক শামীম আহাম্মাদ রায় ঘোষণা করেন।

আগামী ৩০ দিনের মধ্যে অর্থদণ্ডের ৫০ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় রফিকুল আমীনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়। এসময় দুই জন পুলিশের তাকে ধরে নিয়ে হাজতখানায় যান।

তবে,রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রফিকুল আমীনের আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী। তিনি উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

রায়ে সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

প্রায় চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন এবং ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় আলাদা দুটি মামলা করে দুদক।

তারা ওই বছর ১১ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওই দুই মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় রফিকুল আমিনের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১৮ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০১৬ সালের ১৬ জুন নোটিশ দেয় দুদক। সাত দিনের মধ্যে তাকে তথ্য বিবরণী জমা দিতে বলা হয়।

কারাবন্দি রফিকুল আমীন বিবরণী দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করলে তাকে আরো সাত দিন সময় দেয়া হয়। এরপরও সম্পদের তথ্য বিবরণী না দেওয়ায় ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক।

এরপর ২০১৭ সালের ৬ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। একই বছরের ১২ মার্চ চার্জ গঠন করে রফিকুল আমিনের বিচার শুরু করেন আদালত। মামলাটিতে আদালত পাঁচ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রফিকুল আমীনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অপর দুইটি মামলা সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। ঢাকা/মামুন খান/জেনিস