আইন ও অপরাধ

ঘুষ চক্রের খপ্পরে দুদক টিম

ছদ্মবেশে পাসপোর্ট অফিসে দুদকের একটি টিম। পাসপোর্ট করতে যথারীতি দালালের মুৃখোমুখি। দ্রুত পাসপোর্ট প্রদানে প্যাকেজ বিভিন্ন মূল্য হাঁকালো দালালরা।

প্যাকেজ মূল্য ১১ থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা। কম হলে অত্র অফিসে সেবা পাওয়া অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার। জানালো দালালরা।

শুধু কি তাই ওই ঘুষ চক্রের হোতা পাসপোর্ট অফিসের রেকর্ড কিপার সুমন রায় এবং ডেলিভারি সেকশনে কর্মরত প্রণব কুমার দাসও দুদক টিমের নিকট ঘুষ দাবি করে।

ঘটনা শরীয়তপুর জেলা পাসপোর্ট অফিসে। ফরিদপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সৌরভ দাসের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে এমন বাস্তবতা বেরিয়ে আসে।

পাসপোর্ট প্রাপ্তির আবেদনপত্র গ্রহণে ঘুষ দাবির অভিযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে দুদক টিম ছদ্মবেশে সেবা গ্রহীতা সেজে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হয় এবং দেখতে পায় অফিসে দালালদের উপস্থিতি রয়েছে। দুদক টিম বিভিন্ন সেবাপ্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানতে পারে দালালদের সাথে অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি যোগসাজশ রয়েছে এবং ঘুষ প্রদান না করলে ইচ্ছাকৃতভাবে পাসপোর্ট প্রদানে দেরি করা হচ্ছে।

এ সময় কয়েকজন দালাল ছদ্মবেশে থাকা দুদক টিমকে জানায় দ্রুত পাসপোর্ট প্রদানের প্যাকেজ মূল্য হচ্ছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা।

দুদক টিম আরও জানতে পারে, এই ঘুষ চক্রে পাসপোর্ট অফিসের রেকর্ড কিপার সুমন রায় এবং ডেলিভারি সেকশনে কর্মরত প্রণব কুমার দাস জড়িত আছে। পরে সেবাগ্রহীতা সেজে তাদের নিকট উপস্থিত হলে ওই দুই কর্মচারী দুদক টিমের নিকট ঘুষ দাবি করে।

পরবর্তীতে দপ্তর প্রধান উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমানের সাথে এ ব্যাপারে টিম কথা বললে তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত বদলি এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করার বিষয়টি দুদক টিমকে অবহিত করেন।

এছাড়া এনফোর্সমেন্ট টিম ইব্রাহিম, আশরাফ এবং সবুজ নামে তিনজন দালালের বিরুদ্ধে  শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করেছে।

ঢাকা/এম এ রহমান/নাসিম