আইন ও অপরাধ

ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন, বিচারককে তলব

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. বেগম কামরুন নাহারকে তলব করেছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের আদেশে জামিন স্থগিত থাকার পরও ধর্ষণ মামলার আসামি আসলাম শিকদারকে জামিন দেওয়ায় তাকে তলব করা হয়েছে।

আগামী ২ এপ্রিল তাকে আাদলতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আপিল বিভাগ আসামিকে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের জামিন আদেশ বাতিল করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি আসামি আসলাম শিকদারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে  নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে  একটি টেলিভিশনের  প্রোগাম প্রডিউসার আসলাম শিকদারের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মামলা করা হয়।  ধর্ষণ মামলায় ওই দিন তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এই মামলায় গত বছরের ১৮ জুন হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করেন।

আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে জামিন স্থগিত থাকার পরও গত ২ মার্চ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম কামরুন নাহার তাকে জামিন দেন।

এ বিষয়টি আজ আপিল বিভাগের নজরে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি আদালতকে বলেন, ‘সব্বোর্চ আদালতের আদেশে স্থগিতাদেশ থাকার পরেও আসামিকে নিম্ন আদালতের জামিন দেওয়া আদালত অবমাননার শামিল। এভাবে জামিন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

তখন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ওই মামলার নথি তলব করেন।

এরপরই আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভুইয়া ঢাকার নিম্ন আদালতে গিয়ে তাৎক্ষণিক মামলার নথি নিয়ে আসেন।

দুপুর সাড়ে ১২টায় ওই নথি আপিল বিভাগে উপস্থাপন করা হয়। নথি পর্যালোচনা করে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ  দেখেন, ট্রাইব্যুনালের ৩২ নম্বর আদেশে আপিল বিভাগের জামিন স্থগিতাদেশের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এরপরই উভয়পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপন শেষে আপিল বিভাগ বিচারককে তলব করেন এবং আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। 

 

ঢাকা/মেহেদী/ইভা