আইন ও অপরাধ

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ধর্ষণ থেকে বেঁচে গেছি: নারী আসামি

শনিবার রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর সঙ্গে এ মামলার এক নারী আসামিও উপস্থিত ছিলেন। আসামিরা তাকেও ধর্ষণ করতে চেয়েছিল। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় বেঁচে যান তিনি।

রোববার (১৫ মার্চ) ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কনক বড়ুয়া ওই নারী আসামি ও জালাল উদ্দিন বাবুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদেশের আগে ওই নারী আসামী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসব কথা বলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) নূর মোহাম্মদ আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে আসামিদের পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না।

এসময় বিচারক আসামিদের কাছে জানতে চান, তাদের কিছু বলার আছে কি না। প্রথমে বাবু জানায়, বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ঝাড়ু দেয় সে। সে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। আসামিদের সঙ্গে মদ খেয়েছিলেন তিনি। তবে সে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত না। তাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।

এরপর ওই নারী আসামি বলেন, ‘আসামিরা আমাকেও ধর্ষণ করতে নিয়ে গিয়েছিল। আমার পেটে বাচ্চা থাকায় আসামিরা আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। তবে আসামিরা আমাকে ধর্ষণ না করলেও আমার গলার নিচে আঁচড় দেয়। ’

আঁচড় দেয়ার চিহ্নটি বিচারককে দেখান ওই নারী আসামি।

তিনি বলেন, ‘অন্যান্য আসামিরা তখন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আমাকে আটক করে। আমি পুলিশকে দিয়ে বাবুকে ধরিয়ে দিই। আমাকে শুধু শুধু এ ঘটনার সাথে জড়ানো হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।’

এদিকে ধর্ষণের শিকার তরুণী রোববার বিমানবন্দর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। চারজনের মধ্যে দুইজন পলাতক রয়েছে। এরা হলেন আলমগীর ওরফে পায়তারা আলমগীর (২৪) এবং রুবেল (২৩) ।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৪ মার্চ রাত ১ টার দিকে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের পাবলিক টয়লেটের পুকুর পাড়ে ভিকটিমসহ নারী আসামি ডিম-খিঁচুড়ি খাচ্ছিলেন। এসময় আসামি আলমগীর, জালাল উদ্দিন বাবু, রুবেল ভিকটিমের পিছু নিয়ে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। তখন ওই নারী আসামীর কাছে ভিকটিম সাহায্য চাই। তখন ওই নারী ভিকটিমকে বলেন, ‘ওদের কথা শোন, না হলে তোকে ওরা ব্লেড দিয়ে মুখোমন্ডল জখম করে দিবে।’ কিছুক্ষন পরে আলমগীর, বাবু ও রুবেল ভিকটিমকে ঘিরে ধরে এবং ওই নারী আসামী ওদের হাতে তুলে দেয়। রাত দেড়টার দিকে আলমগীর ভিকটিমকে সিভিল অ্যাভিয়েশন ইউনিভার্সিটির নির্মাণাধীন নির্ধারিত স্থানের মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ভিকটিম চলে আসতে গেলে জালাল উদ্দিন ও রুবেলও তাকে ধর্ষণ করে।

 

ঢাকা/মামুন খান/সাজেদ